শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ‘চ’ বগিসহ মোট চারটি বগি পুড়ে যায়।সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ যাত্রী। গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ীর তিনজন। তাদের তিনজনের বাড়িতেই চলছে শোকের মাতম। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী জেলার জন্য আসন বরাদ্দ থাকে মোট ৫৫টি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে আনুমানিক ৬৫ জন যাত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশ্য যায়। নিখোঁজরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাজ্জাদ হোসেনে স্ত্রীর এলিনা ইয়াসমিন (৪০), সদর উপজেলার বেলগাছি আলিমুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক প্রয়াত চিত্ত রঞ্জনের মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮) কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথন্দিয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবু তালহা।তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরে থাকেন।চন্দ্রিমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে আগুন লাগার আধাঘণ্টা আগেও চন্দ্রিমার সঙ্গে কথা হয় তার পরিবারের। তবে ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলিনার সঙ্গে থাকা বোন, বোনের স্বামীসহ সবাই দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে সবাই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তবে এ ঘটনার পর থেকে এলিনা ইয়াসমিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সাথে এ ঘটনার পর সৌমি ও আবু তালহার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তাদের পরিবার।তাদের খোঁজ পেতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পরিবারের সদস্যরা।আবু তালহার বাবা আব্দুল হক বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে হলেও আমরা এখন ফরিদপুরে থাকি।আবু তাহের গতকাল সন্ধ্যায় ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্য যায়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি।